পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা
- By Jamini Roy --
- 19 December, 2024
পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানের দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সরকার এই কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিরক্ষা সংস্থার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এই সিদ্ধান্তের কথা জানায় মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। খবরটি প্রকাশ করেছে রয়টার্স।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেন, একটি নির্বাহী আদেশের আওতায় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই আদেশের মূল লক্ষ্য হলো ‘গণবিধ্বংসী অস্ত্র এবং সেগুলোর সরবরাহের উপায়গুলো নিয়ন্ত্রণ করা’। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় পাকিস্তানের জাতীয় উন্নয়ন কমপ্লেক্স (এনডিসি) এবং আরও তিনটি প্রতিরক্ষা সংস্থা রয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর যুক্তরাষ্ট্রে থাকা যেকোনো সম্পত্তি জব্দ হবে এবং তারা আর কোনো আমেরিকান প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না।
মার্কিন এই পদক্ষেপকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ এবং ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদের দাবি, এই নিষেধাজ্ঞা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর এবং এটি ভারতের সঙ্গে সামরিক ভারসাম্যহীনতাকে আরও বাড়িয়ে দেবে।
এক বিবৃতিতে পাকিস্তান উল্লেখ করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপ দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করবে। পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ভারতের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টিও উল্লেখ করে তারা।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের একটি ফ্যাক্টশিটে বলা হয়েছে, ইসলামাবাদ-ভিত্তিক এনডিসি দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সরঞ্জামের জন্য উপাদান সংগ্রহের চেষ্টা করেছে।
এই ফ্যাক্টশিটে আরও উল্লেখ করা হয়, এনডিসি পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের প্রধান কেন্দ্র। তাদের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে শাহীন সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্র উল্লেখযোগ্য। পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের এই কর্মসূচি দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক প্রতিযোগিতাকে আরও তীব্রতর করতে পারে।